Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

টেকসই খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা

ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার১ড. সুস্মিতা দাস২  
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নিমিত্তে পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ অত্যাবশ্যক। এই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সম্মিলিতভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশও প্রতি বছর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করে আসছে। বিশ্ব খাদ্য দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য-
ÒGrow, Nourish, Sustain. Together. Our Actions are our Future”. অর্থাৎ সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। বৈশ্বিক খাদ্যপুষ্টির মান উন্নয়ন বিবেচনায় এবারের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়পোযোগী।


 ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) লক্ষ্যগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়া এবং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রচিত ১৯৭২ সালের সংবিধানে নাগরিকের পুষ্টি উন্নয়নকে রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ১৯৭২ এর সংবিধানে উল্লেখ করা হয় “জনগণের পুষ্টির উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবে”। তাই এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা এবং এসডিজির ২নং অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্য পরিপুরক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সবসময় কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন। তাঁর বাণী  ‘কৃষক বাঁচাতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে তা না হলে বাংলাদেশ বাঁচতে পারবে না।’ এর বহিঃপ্রকাশ আজকের বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা । খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার সাথে সাথে বাংলাদেশেকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্যেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। যার গুরুত্ব¡ উপলব্ধি করে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বিপ্লবের ঘোষণাসহ কৃষি উন্নয়নে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। জাতির পিতার দূরদর্শী এ সিদ্ধান্তে  বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদ কৌশল প্রবর্তনের মাধ্যমে টেকসই কৃষির যাত্রা সূচিত হয়। কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরুজ্জীবিত করার মধ্য দিয়ে কৃষি গবেষণায় মুক্তবুদ্ধি চর্চার অবতারনা হয়।  

 
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন যা স্বাধীনতা উত্তরকালে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নেতৃত্বে জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের জন্য বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা   কাউন্সিল গঠন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে আইন ১৯৯৬ সালে পাশের মাধ্যমে জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল বর্তমানে নার্স এর শীর্ষ সংস্থা (অঢ়বী ইড়ফু) হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, তুলা উন্নয়ন বোর্ড এবং রেশম গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর গবেষণা কর্মকাণ্ড সমন্বয় সাধন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


প্রতিষ্ঠার পর থেকে অন্যান্য সহযোগী কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় সাধন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। এক ও দুই ফসলি জমি অঞ্চল বর্তমানে চার ফসলি জমিতে পরিণত করা হয়েছে। খাদ্য শস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দশম যা সম্ভব হয়েছে কৃষি গবেষণার নিরলস প্রচেষ্টায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দানাদার খাদ্যশস্যের লক্ষমাত্রা ছিল ৪১৫.৭৪ লাখ মেট্টিক টন উৎপাদিত হয়েছে ৪৩২.১১ লাখ মেট্রিক টন। যার ফলে দেশ আজ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আজ ধান উৎপাদনে ৩য়, মাছ উৎপাদনে ২য়, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আলু ও আম উৎপাদনে ৭ম এবং মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ ১ম হয়েছে, যা দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।


কৃষি গবেষণায় প্রভূত উন্নতির ফলে বাংলাদেশের কৃষি আজ Subsistence Agriculture (জীবিকানির্ভর কৃষি) থেকে Commercial Agriculture (বাণ্যিজিক কৃষি)-তে রূপান্তরিত হয়েছে। পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক অসংখ্য লাগসই প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে যা দেশের সার্বিক কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিসহ দেশের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে। তাছাড়া পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারাবাহিক গবেষণার ফলে ধানসহ বিভিন্ন ফলদ ও শাকসবজির সব মওসুমে পুষ্টিসমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবন হয়েছে। কৃষিবিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলে বর্তমানে সারা বছর বিভিন্ন শাকসবজি ও ফল-ফলাদির চাষ হচ্ছে যা দেশের সার্বিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে ধান বিষয়ে নিয়মতান্ত্রিক গবেষণার ফলে লবণাক্ততা, খরা, জলমগ্নতা   সহনশীল ও জিংক সমৃদ্ধ ধানসহ অদ্যাবধি ১০৫টি উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন- জিংক, আয়রন, প্রোটিন, মিনারেলস্সহ  শরীরের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যোপাদানগুলো দেহের প্রয়োজন অনুসারে চালে সংযোজন, সরবরাহ বা পরিমাণে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করছে। পুষ্টিসমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবনে বিশ্বের সর্বাধুনিক বায়োফর্টিফিকেশন ও জিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি বিভিন্ন ফসলের ৫৭৯টি উচ্চফলনশীল জাত এবং ৫৫১টি প্রযুক্তিসহ মোট ১১৩০টিরও অধিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
গম ও ভুট্টা গবেষণা  ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে ৩৬টি গমের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে, যা দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। উল্লেখ্য, জিংকসমৃদ্ধ বারি গম-৩৩ পুষ্টি বিবেচনায় উল্লেখযোগ্য। অনুরূপভাবে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন ফসলের প্রায় ১১২টি আধুনিক জাত উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। পুষ্টির দিক থেকে জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ বিনাধান-২০ উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ধারাবাহিক গবেষণার ফলে আখের প্রায় ৪৭টি জাত উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে।


মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক গবেষণার ফলে দেশ আজ আমিষ প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।  যার ফলে মাছের উৎপাদন বিগত দশ বছরে ২৭.০১ লক্ষ টন থেকে বেড়ে ৪১.৩৪ লক্ষ টনে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান দেশের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দেশের বাস্তবিক ও বিজ্ঞানসম্মত খামার ব্যবস্থাপনা, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণসহ    নানাবিধ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৫ বছর মেয়াদি জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্প (ঘঅঞচ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত¡াবধানে ২০০৮ সাল থেকে দেশব্যাপী খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকল্পটি শিশু ও নারীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে দেশের গম, ডাল, তেলবীজ, শাকসবজি ও ফলমূল ও দুধ মাংস উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।


ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে তালমিলিয়ে দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মানসম্মত কৃষি গবেষণার কোন বিকল্প নেই। কৃষি গবেষণাকে আরো যুগোপযোগী করে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আরো বেশি সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন। কৃষি মন্ত্রণালেয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সমন্বয়ে জাতীয় কৃষি নীতি  ২০১৮ প্রণীত হয়েছে। এ নীতেতে কৃষিকে আরও আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত বিভিন্ন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চত করার লক্ষ্যে কৃষি নীতিতে নতুন করে ন্যানো প্রযুক্তির মত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এসব কিছুই ছিল জাতির পিতার স্বপ্নের কৃষিনীতির প্রতিফলন। এ নীতিতে কৃষি খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা, গবেষণা ও উন্নয়ন, কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষিতে সমবায়, কৃষি বিপণন, বিশেষায়িত  কৃষি যেমন: ছাদে কৃষি, হাইড্রোফোনিক, সংরক্ষণমূলক কৃষি, ভাসমান কৃষি, প্রিসিশন কৃষি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ সংরক্ষণ, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীল টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন কৃষি নীতিতে প্রতিফলিত হয়েছে। কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে মেধা, দক্ষতা ও প্রজ্ঞার সমন্বয়ের উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।


বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার    নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের পথে হাঁটছে।  টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা ও কৌশল অবলম্বন করেছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অন্যান্য জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। য়

১নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিএআরসি, ফার্মগেট, ঢাকা, ফোন : ৯১৩৫৫৮৭, ই-মেইল : ec.barc@barc.gov.bd 2 প্রধান ডকুমন্টেশন কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য কেন্দ্র, বিএআরসি, ফার্মগেট, ঢাকা, মোবাইল : ০১৭১১১০২১৯৮


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon